No Slide Photo Found
মেনু নির্বাচন করুন

সরকারি ইন্দুরকানী কলেজ এর ইতিহাস


দক্ষিণ বাংলার অবহেলিত একটি জনপদের নাম ইন্দুরকানী। ইন্দুরকানী থানা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় শিক্ষার সুযোগ খুব কমই ছিল। মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার সুযোগ থাকলেও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার কোন সুযোগই ছিলনা। ১৯৯৩ সালে স্থানীয় শিক্ষানুরাগী পত্তাশী ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যান জনাব ইকরামুল কবির মজনু ও বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের এডভোকেট আখতারুজ্জামান তালুকদার সগীর, পত্তাশী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আসাদুল কবির তালুকদার স্বপন, এডভোকেট মোঃ ফিরোজ হাওলাদার, থানা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জনাব আঃ লতিফ হাওলাদার, হাজী আফসার আলী শেখ ও মাষ্টার আব্দুর রব হাওলাদার প্রমূখ ব্যক্তিবর্গের দানকৃত জমিতে এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় ‘ইন্দুরকানী কলেজ’ নামে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০২ সালের ২১ এপ্রিল ইন্দুরকানী থানা এলাকা নিয়ে ‘জিয়ানগর’ নামে উপজেলা ঘোষণা করা হয়। উপজেলার নামের সাথে মিল রেখে ২০০৩ সালে কলেজের নাম ‘জিয়ানগর ডিগ্রি কলেজ’ নামকরণ করা হয়। পরবর্তীতে জিয়ানগর উপজেলার নাম পরিবর্তন করে ইন্দুরকানী নামকরণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে ২০১৫ সালের ১৭ ডিসেম্বর উপজেলার নামের সাথে মিল রেখে ‘ইন্দুরকানী ডিগ্রি কলেজ’ নামকরণ করা হয়। বর্তমানে কলেজটি ‘সরকারি ইন্দুরকানী কলেজ’ নামে পরিচালিত হচ্ছে।

 

            ১৯৯৪-১৯৯৫ শিক্ষাবর্ষ হতে যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা চালু হয়। ২০০৬-২০০৭ শিক্ষাবর্ষ হতে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (বিজনেস ম্যানেজমেন্ট) শিক্ষাক্রমে কম্পিউটার অপারেশন ও সেক্রেটারিয়াল সায়েন্স স্পেশালাইজেশন চালু করা হয়। ২০০০-২০০১ শিক্ষাবর্ষ হতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্নাতক (পাস) শ্রেণিতে বিএ, বিএসএস ও বিবিএস কোর্স চালু করা হয়। ২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষ হতে বাংলা, ইসলাম শিক্ষা, সমাজকর্ম ও হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) কোর্স চালু করা হয় এবং ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষ হতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) কোর্স চালু করা হয়। বর্তমানে ০৬ টি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু আছে। এ ছাড়াও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চালু আছে এইচএসসি প্রোগ্রাম এবং বিএ/বিএসএস প্রোগ্রাম। প্রতিষ্ঠাকালীন থেকেই ইন্দুরকানী উপজেলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী উপজেলাসমূহের বিস্তীর্ণ এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে আসছে স্বনামধন্য এই প্রতিষ্ঠানটি। আধুনিক প্রগতিশীল ও যুগোপযোগী শিক্ষা এবং পাঠ্যক্রম বর্হিভূত কার্যক্রমের মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক ভবিষ্যৎ নাগরিক তৈরিতে সরকারি ইন্দুরকানী কলেজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

 

          জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রমহানের সুযোগ্য উত্তরসূরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পিরোজপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় পানি সম্পদ মন্ত্রী জনাব মোঃ আনোয়ার হোসেন মন্জুর আন্তরিক প্রচেষ্টায় গত ০৮/১০/২০১৮ খ্রিস্টাব্দ হতে কলেজটি সরকারি ঘোষণা করা হয়।